বছরের প্রথম মাসে রান্নায় ব্যবহৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস-এলপিজির দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানান, সৌদি আরবের দাম (সৌদি সিপি) কমে আসায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ডিসেম্বর মাসের চেয়ে ৫ টাকা ৩৯ পয়সা কমানো গেছে।
জানুয়ারি মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। নতুন এই দর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।
এ মাসে ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হবে সর্বোচ্চ ১২৩২ টাকায়। গতমাসে এই দাম ১২৯৭ টাকা ছিল। অর্থাৎ ১২ কেজির সিলিন্ডারে দাম কমছে ৬৫ টাকা।
বিইআরসি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে সৌদি আরামকো এলপিজির মূল উপাদান প্রোপেনের প্রতিটনের দাম ৫৯০ ডলার এবং প্রতিটন বিউটেনের দাম ৬৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। ৩৫: ৬৫ অনুপাতে মিশ্রণের গড় মূল্য হিসাবে প্রতিটনের দাম হয় ৫৯৯ দশমিক ৭৫ ডলার।
এলপিজি আমদানির সঙ্গে যুক্ত ১৬টি কোম্পানির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ধরা হয়েছে ১০৫ টাকা ৬৩ পয়সা, যদিও আগের মাসে এই মান ১০৫ টাকা ২২ পয়সা ধরা হয়েছিল।
নির্ধারিত এই মূল্যহার অনুযায়ী এলপিজির ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে রেটিকুলেটেড গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে প্রতিকেজি ৯৯ টাকা ৪৬ পয়সা যা আগের মাসে ১০৪ টাকা ৮৫ পয়সা ছিল। যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দাম ধরা হয়েছে প্রতিলিটার ৫৭ টাকা ৪১ পয়সা যা আগের মাসে ৬০ টাকা ৪১ পয়সা ছিল।
প্রায় দুই বছর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বপ্রথম দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রি হওয়া এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমাসেই নিময় করে দাম সমন্বয় চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে তিনমাস পর পর জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারনেও একটি উদ্যোগ সক্রিয় বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।