ধানের মওসুমে চাল আমদানি করছে সরকার


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: January 04, 2023 19:33:24 | Updated: January 05, 2023 13:26:03


ফাইল ছবি

প্রয়োজনীয় চাহিদার যোগান দিতে আমন সংগ্রহের মওসুমেও এক লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকার।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ৫০ হাজার টন করে মোট এক লাখ টন ‘নন বাসমতি’ সেদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্সের কাছ থেকে ২১০ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন ‘নন বাসমতি’ সেদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মোট ২১৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় সিঙ্গাপুরের এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ভারত থেকে আনা চালের প্রতি টনের দাম পড়েছে ৩৯৩ দশমিক ১৯ ডলার। আগের কেনাকাটায় দাম পড়েছিল ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার।

আর সিঙ্গাপুর থেকে আসা চলের প্রতি টনের দাম ৩৯৭ দশমিক ০৩ ডলার। আগে ছিল ৩৯৩ দশমিক ১৯ ডলার। 

চলতি আমন মওসুমে গত ১০ নভেম্বর থেকেই সরকার ৪২ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ টন চাল ও ২৮ টাকা কেজি দরে ৩ লাখ টন ধান সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২ জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, সরকার এই সময়ের মধ্যে ৫৬৩ টন ধান ও এক লাখ ৫২ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে। ধানকে চালে রূপান্তর করলে এই পরিমাণটি হবে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬২ টনের মত।

সরকারি গুদামে এখন ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টন চাল ও এক হাজার ৮২ টন ধান মজুদ আছে।

কেউ না খেয়ে থাকবে না’

বৈশ্বিক পরিস্থিতি যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে ‘কেউ না খেয়ে থাকবে না’ বলে আবারও অভয় দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার দুপুরে ঢাকার আব্দুল গণি রোডে ভ্রাম্যমাণ ওএমএস (ট্রাকসেল) বিক্রয় কার্যক্রম আকস্মিক পরিদর্শনকালে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই আজ দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার নেই এবং দেশের মানুষ কষ্টেও নেই। পৃথিবীব্যাপী মহামারী ও আর্থিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছে।”

তিনি বলেন, আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ওএমএস এর খাদ্য বান্ধব চালু থাকত না।

“ভোক্তা সাধারণকে স্বস্তি দিতে সরকার এ সময়ে এটা চালু রেখেছে। প্রয়োজনে সারা বছর স্বল্প আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।“

Share if you like