দ্রব্যমূল্যের ‘পাগলাঘোড়া’ সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে ‘বাগে এসেছে’ মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দুয়েক দিনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির সবশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
সরকার এর আগের মাস অগাস্টেরও মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করেনি। পরিকল্পনামন্ত্রী সোমবারও কোনও পরিসংখ্যান বা তথ্য দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, অগাস্টে বাড়লেও সেপ্টেম্বরে কমেছে এবং আগামী মাস অক্টোবরে আরও কমবে। আর সরকার সবসময় এমন পরিসংখ্যান ‘সৎভাবেই’ প্রকাশ করে বলে জানান তিনি।
সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি পরবর্তী যাচাই (পিইসি) জরিপের তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও সুপারভাইজিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
অগাস্টের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন না দেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা যখনই তথ্য দেব সৎভাবে দেব। দুদিন পরে দেব কিন্তু ডক্ট্রিন করে দেব না। তথ্য ইঞ্জিনিয়ারিং করে দেব না। প্রশাসনিক কারণে সময়মত তথ্য দিতে পারিনি। অন্য কোনও কারণে নয়।”
মান্নান বলেন, “দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে এ (সেপ্টেম্বর) মাসে। কতটা বাগে এসেছে জানতে পারবেন দুয়েক দিনের মধ্যেই।“
আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে তৈরি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান সাধারণত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পরের মাসের প্রথমভাগে প্রকাশ করে থাকে। তবে গত অগাস্টের প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করেনি। ওই মাসে মূল্যস্ফীতির হার আগের কয়েক মাসের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ইয়েস গত (অগাস্ট) মাসে বেড়েছিল। সে বাড়া এই মাসে নেমেছে, ভালভাবে নেমেছে। সাহস নিয়ে বলছি আগামী মাসে আরও কমবে।”
এসময় তিনি বলেন, “তেলের দাম বেড়েছে, সবই বেড়েছে। তারপরও কমেছে, কেন কমেছে? কারণ আছে। তার কারণ এক কোটি কার্ড। কম দামে বিক্রি। সরাসরি চাল তেল ইত্যাদি টিসিবির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।
“এক কোটি কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি চার কোটি মানুষ দ্রব্যমূল্যের সবচেয়ে বেশি আঘাত যেখানে করে… কম মূল্যে সেই চাল, ডাল তেলসহ নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে।”
আগামীতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও কমে এলে জীবনযাত্রা পুরো ঠিক হয়ে যাবে বলে আশার কথা শোনান তিনি।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন আল রশীদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।