করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে দেশে; প্রথম পর্যায়ে এই ডোজ পাবেন ষাটোর্ধ্ব ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভোগা ব্যক্তি এবং সম্মুখ যোদ্ধারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। সেজন্য চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ নেবার উপযোগী। তবে আপাতত ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তি, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন।”
বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পেরিয়েছে, এমন ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও এখন দেশজুড়েই চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
এখন সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবস্থিত সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০/২৫০/১০০ শয্যার হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কোভিড টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক অনুষ্ঠানে জানান, সারাদেশে এরইমধ্যে ১৫ কোটি মানুষ প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি দ্বিতীয় ডোজ এবং সাড়ে কোটি মানুষ তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।
চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। শামসুল হক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এখনও এক কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। আরও টিকা আসবে।
“টিকা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকেই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) দেব।”
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল কবীরসহ কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।