দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের পরামর্শকের দায়িত্ব পেয়েছে জাপানের নিপ্পন কোয়ে কোম্পানি লিমিটেড নেতৃত্বাধীন আট প্রতিষ্ঠান।
রোববার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং নিপ্পন কোয়ের নাও কি কুদো। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন।
আরেক অংশ হবে এলিভেটেড; সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট নয়টি স্টেশন।
মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ কনসোর্টিয়াম পরামর্শকের কাজ পেয়েছে। নিপ্পন কোয়ে’র সঙ্গে কনসোর্টিয়ামে রয়েছে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড, ফ্রান্সের সিস্ট্রা এসএ, ভারতের দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড, নিপ্পন কোয়ে ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, জাপানের কাতাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড ও নিপ্পন কোয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্রকল্পটির পরামর্শক হিসেবে কাজের জন্য চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৩৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদুত ইতো নাওকি এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা-জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, “আপনাদের তহবিল দিয়ে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার এক অপার দুয়ার খুলেছে।”
এ বছরই ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল চালু হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুর পর আগামী ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধনের আশায় রয়েছে দেশের মানুষ। এরপর আগামী বছরের ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করা হতে পারে।”
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।