রোববার সকালে ওই সড়কের ফকিরাপুল এবং নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে কাঁটাতারের ব্যারিকেড ও পুলিশের বেষ্টনী সরিয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তার বলছেন, জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এ সড়ক থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে।
গত বুধবার বিএনপি অফিসের সামনে দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ওই সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে খুলে দেওয়া হলেও সেদিন শেষরাতে বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে আবারও ব্যারিকেড বসানো হয়। বন্ধ রাখা হয় দোকানপাটও। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা।
রোববার সকালেও নয়া পল্টনের মূল সড়কে যুক্ত আটটি গলিতে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। ফকিরাপুল ও কারাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে জলকামাল, সাঁজায়া যান, প্রিজন ভ্যানসহ পুলিশের গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বুধবার রাত থেকেই বন্ধ, কলাপসিবল গেইটে তালা ঝুলছে।
দুইজন নিরাপত্তা কর্মী সেখানে পালাবদল করে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের একজন জানালেন, অফিসে কেউ আসেন না। পুলিশের অভিযানের পর পুরো অফিস তছনছ হয়ে ছিল, এখনও সেভাবেই রয়েছে। কয়েক দিন পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি অফিসে অভিযানের পর কর্মচারীরাও গ্রেপ্তার হওয়ায় অফিস কবে খুলবে তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
নয়া পল্টন সড়কে ফুটপাতের চা বিক্রেতা মনু মিয়া বলেন, “দোকান বসাব কিনা ভয় পাচ্ছি। পুলিশ আবার দোকান নিয়ে গেলে পথে বসব। এখনো মানুষজন সেভাবে এই পথে চলাচলও শুরু করেনি। দেখি বিকালের দিকে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। গত কয়েকদিন এই সড়ক বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’’