উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএমস) ছুড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
দক্ষিণের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার খাংওন প্রদেশের থুংছান এলাকা থেকে এসআরবিএমসগুলো ছোড়া হয়।
যে কোনো ধরনের উস্কানি থেকে প্রতিবেশী দেশটিকে বিরত রাখার লক্ষ্য নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা দক্ষিণ কোরিয়ার বড় ধরনের সামরিক মহড়ার শেষ দিন এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং দক্ষিণের সামরিক বাহিনীর এই মহড়াকে ‘উস্কানি’ অবহিত করে এর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে জেসিএস বলেছে, “আমাদের সামরিক বাহিনী পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থা বজায় রাখছে।”
তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষা করে চলছে এবং পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলেও জানিয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি।
২০১৭ সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বাড়তে থাকা এমন আশঙ্কার মধ্যেই এ দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং। চলতি বছর উত্তর কোরিয়া অভূতপূর্ব গতিতে একের পর এক স্বল্পপাল্লার, আন্তঃমহাদেশীয় ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে।
সর্বশেষ পরীক্ষাসহ এসব পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া ‘অস্থিতিশীলতা’ আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ১২ দিন ধরে চলা তাদের বার্ষিক হোগুক প্রতিরক্ষা মহড়া শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) শেষ করতে যাচ্ছে। এই মহড়ায় মার্কিন সেনারাও অংশ নিয়েছে। সোমবার দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোর আরেকটি বড় ধরনের মহড়া শুরু করার কথা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়া বলেছে, এ দুই বাহিনীর যৌথ মহড়ার প্রতিবাদেই তারা এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরীয় বাহিনীর সামরিক মহড়াকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘আক্রমণ চালানোর মহড়া’ বলে উল্লেখ করেছে তারা।