দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আগত দর্শণার্থীদের স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে চীন। দেশ দুটি চীন থেকে আগতদের জন্য কোভিড বিধিনিষেধ আরোপ করার পাল্টা জবাবে বেইজিং তাদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চীনে পর্যটক হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
ওদিকে, জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীন সেখানেও একইরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বেইজিং বলছে, ওই দেশগুলোতে চীনা দর্শণার্থীদের প্রবেশে ‘বৈষম্যমূলক’ কড়াকড়ির পদক্ষেপ যতক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, ততক্ষণ পাল্টা জবাব হিসাবে তাদের দর্শণার্থীদের চীনে প্রবেশও বন্ধ থাকবে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া চীন থেকে আগতদের পর্যটক ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’এবং ‘অবৈজ্ঞানিক’বলে এর সমালোচনা করেছে।
এবার দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের চীনে প্রবেশ বন্ধের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিবিসি-কে বলেছে, চীন থেকে আগতদের ক্ষেত্রে তারা যে নীতি নিয়েছে, তা বিজ্ঞানসম্মতভাবে এবং তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে।
জাপান অবশ্য এখনও চীনা দর্শণার্থীদেরকে তাদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে। তবে এজন্য চীনাদেরকে কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, ভিসায় কড়াকড়ি আরোপের আগে চীন থেকে আসা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নাগরিকেরই কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
ফলে চীন থেকে আগতদের ওপর ভিসায় কড়াকড়ি অন্তত এ মাসের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে। আর এই সময়ের মধ্যে বিজ্ঞানীরা চীন থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ আসার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করে দেখার সুযোগ পাবেন।
কেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর কিম উ জু বলেন, “করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে চীনে এ মুহূর্তে কোনও স্বচ্ছতা নেই। চীন থেকে একটি নতুন ধরণ চলে এলে সেটি গোটা বিশ্বের জন্যই কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াবে। কোরিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যও সেটি বিপর্যয়কর হবে।”
কেভিড নেগেটিভ সনদ দেখিয়ে বর্তমানে খুব কমসংখ্যক চীনাই দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢুকতে পারছে। আর কেবলমাত্র সিউলের ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই এখন চীন থেকে আসা ফ্লাইট নামতে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আগতদেরকে পিপিই পরা সামরিক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।