তুরস্কে খনি বিস্ফোরণে নিহত ২৫, বহু আটকা


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: October 15, 2022 10:58:24 | Updated: October 15, 2022 16:37:22


বারতিন প্রদেশের আমাসরা খনিতে বিস্ফোরণের পর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কর্মীরা বাইরে অপেক্ষা করছেন।ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের একটি ভূগর্ভস্থ কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত ও বহু লোক আটকা পড়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় বারতিন প্রদেশের ওই খনিটিতে বিস্ফোরণের সময় প্রায় ১১০ জন লোক কাজ করছিল এবং তাদের প্রায় অর্ধেক ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরে ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফারহেত্তিন খোজা জানিয়েছেন, ১১ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রাত নামার পরও জীবিতদের কাছে পৌঁছতে খনন চালিয়ে যাচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে আমাসরা খনিটি থেকে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে খনি শ্রমিকরা বের হয়ে আসছেন, তাদের পুরো শরীর কালো হয়ে আছে এবং চোখগুলো ঘোলাটে; যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের পরিবার ও বন্ধুরা প্রিয়জনের খবরের জন্য খনিটিতে উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সোয়লু জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩০০ মিটার গভীরে বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার গভীরের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অংশে প্রায় ৪৯ জন লোক কাজ করছিল।

ঘটনাস্থলে সোয়লু সাংবাদিকদের বলেন, “ওই অংশে কিছু লোক আছে যাদের আমরা বের করে আনতে পারিনি।”

বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। স্থানীয় সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক ইঙ্গিতগুলোতে খনিতে থাকা মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। 

“অত্যন্ত দুঃখজন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা,” বলেন তিনি।

তিনি জানান, খনিটির ভেতরে আংশিক ধসের ঘটনা ঘটেছে, তবে সেখানে কোনো অগ্নিকাণ্ড চলমান নেই এবং ভেন্টিলেশন ঠিকমতো কাজ করছে।  

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমাসরার মেয়র রেজাই জাকির জানিয়েছেন, যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের অনেকেই ‘গুরুতর আহত’ হয়েছে।

উদ্ধারপাওয়া এক শ্রমিক বলেন, “জায়গাটি ধোঁয়ায় ও ধূলায় ছেয়ে গিয়েছিল। আসছে কী হয়েছে তা জানি না আমরা।”

খনিটি তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি তুর্কিশ হার্ড কোল এন্টারপ্রাইজের কর্তৃত্বাধীন।

তুরস্কে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কয়লা খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমার ওই খনি দুর্ঘটনায় ৩০১ জন নিহত হয়েছিল।

Share if you like