আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করায় তালেবান সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া না হলে ‘মূল্য দিতে হবে’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, তালেবান নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে কোনওরকম সুযোগ-সুবিধাহীন একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বছর শেষের এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন বলেন, তালেবান শাসিত প্রশাসন আফগান নারীদের ওপর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত বিশ্বের বাদবাকী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টায় সফল হবে না। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
“আর মোদ্দা কথা হচ্ছে এই যে, একটি দেশ তার জনসংখ্যার অর্ধেককে অবদান রাখার সুযোগ না দিলে সফল হতে পারবে না। কোনও দেশই তা পারে না”, বলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী এক চিঠিতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নারীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ার নির্দেশনা জারি বলেন, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার সুযোগ আরও সীমিত হয়েছে। দেশটিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশিরভাগ স্কুলে আগেই ছাত্রীদের পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নারীরা বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পাঁচ নারী গ্রেপ্তারও হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, বিক্ষোভের সময় তারা মারধরের শিকার হয়েছেন।
২০২১ সালে অগাস্টে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বারের মত আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান।
সেসময় তারা বলেছিল, যুগের আধুনিকায়নের সঙ্গে তাল মেলাতে তারা এবার তাদের কট্টর শাসন ব্যবস্থার অনেক নিয়মই শিথিল করবেন।
কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বরং দিন দিন তারা তাদের আগের শাসন ব্যবস্থাতে ফিরে যাচ্ছে।