ঢাকার ঘাটারচর থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ী পর্যন্ত দুটি রুটে নগর পরিবহনের আরও ৫০টি বাস নামছে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির ২৬ তম সভায় এ কথা জানানো হয়।
বাস রুটে র্যাশনালাইনজেশন কমিটির আহ্বায়ক দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির সদস্য এবং ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, নগর পরিবহনের ২৪ নম্বর রুটে ঘাটারচর থেকে আগারগাঁও, মিরপুর ১১, কালশী, ইসিবি চত্বর, কুড়িল বিশ্বরোড, বিমানবন্দর, হাউজবিল্ডিং হয়ে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত যাবে বাস।
আর ২৫ নম্বর রুটের বাস ঘাটারচর থেকে আসাদগেট, ফার্মগেইট, মহাখালী, বনানী, কাকলী হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত চলাচল করবে। দুটি রুটে ২৫টি করে ৫০টি বাস চলবে, বাসের রঙ হবে সবুজ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রো রেলের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা নগর পরিবহনের এ দুটি নতুন রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“২৪ নম্বর রুটের বাসগুলো চলাচলের সময় মেট্রো রেলের ছয়টি স্টেশনকে কানেক্ট করবে। এতে যাত্রীদের সুবিধা হবে। উত্তরা বা আশপাশের এলাকা থেকে যারা মেট্রো রেলে যাবে, তারা এই বাসে করে যেতে পারবে। আবার যারা মেট্রো রেল থেকে নামবে, তাদের জন্য বিরাট একটা সুখবর।”
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে নগর পরিবহন এবং মেট্রো রেলের যাত্রীদের জন্য অভিন্ন কার্ড দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এতে একটি কার্ড ব্যবহার করে মেট্রো এবং নগর পরিবহনের বাসে চলাচল করা যাবে।
“আগামী জুনের মধ্যে আমরা র্যাপিড পাস দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেন একটি কার্ডের মাধ্যমে মেট্রো এবং বাসে যাতায়াত করতে পারেন। বিশ্বের সব দেশে এটা আছে। আমরাও এটা করতে চাই।”
দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নগর পরিবহনের ২১, ২৬ এবং ২২ নম্বর রুটে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। নগর পরিবহন চালুর পর এ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৭ কোটি টাকার বেশি।
“নগর পরিবহন সেবায় যাত্রীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যাত্রীসেবা আরও মসৃণ করার চেষ্টা করছি। আমরা কিছু ব্যত্যয় দেখেছি। টিকেট না কেটে বাসে উঠার চেষ্টা করেন অনেক যাত্রী। এটা আমরা মেনে নেব না। নিয়ম মেনে নির্ধারিত স্থান থেকে যাত্রী তুলতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।”
মেয়র তাপস জানান, নগর পরিবহনের ২৪ এবং ২৫ নম্বর রুটে বাস চালানোর জন্য দরপত্র ডাকা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও পাঁচ মাস সময় লাগতে পারে।
ঢাকা সমন্বয় পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ ঢাকা মহানগর পুলিশ, রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।