ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সাগরে ডুবে যাওয়া বালুর ড্রেজারের নিখোঁজ বাকি চার শ্রমিকের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, বুধবার গভীর রাতে ড্রেজারের ভেতর থেকে একজন এবং বৃহস্পতিবার সকালে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে ডুবে যাওয়া ড্রেজারের নিখোঁজ আট শ্রমিকের সবার লাশ উদ্ধার করা হল।
উদ্ধার কাজে থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল হারুণ পাশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডোবার পর উল্টে যাওয়া ড্রেজারের কয়েকটি অংশ কেটে ভেতর থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্য লাশটি পাওয়া যায় বালুর ভেতরে।
এদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, আবুল বশার, তারেক ও শাহিন আলম। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া ড্রেজারের নিখোঁজ আট শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
নিখোঁজ সবার লাশ উদ্ধার হওয়ায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ঝড়ের মধ্যে মীরসরাইয়ের বামনসুন্দর খাল ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগ অংশে ‘সৈকত এন্টারপ্রাইজ-২’ নামের ড্রেজারটি ডুবে গেলে ওই আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।
একদিন পর মঙ্গলবার রাতে ডুবুরিরা ওই ড্রেজার থেকে আল আমীন (৩০) নামে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন। বুধবার সকালে পাওয়া যায় ইমাম (২৫), জাহিদুল ইসলাম (২৫) ও মাহমুদ মোল্লার (২২) লাশ।
এরপর বুধবার গভীর রাতে আমল সরদার (৪০) এবং বৃহস্পতিবার সকালে শাহীন মোল্লা (৩৭), মো. তারেক (২০) ও আবুল বাশারের (৪০) লাশ মেলে। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠি এলাকায়।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
ভারি বর্ষণ আর জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে সেটি দুর্বল হয়ে পাড়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে, দেয়াল ধসে, নৌযান দুর্ঘটনায় কিংবা পানিতে ডুবে দেশের ১৫ জেলায় অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর এ পর্যন্ত এসেছে।