তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা পাকিস্তানের সরকার প্রতিদিন রাতে সাড়ে ৮টার মধ্যে শপিং সেন্টার ও মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটি ৬ হাজার ২০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানের বেশিরভাগ বিদ্যুৎই উৎপাদিত হয় আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
গত বছর বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির এমনিতেই বিপর্যস্ত অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানিতে দেশটির দরকার বিদেশি মুদ্রা, বিশেষত মার্কিন ডলার।
গত বছর প্রায় ৫০ শতাংশ রিজার্ভ হারানো দেশটির কাছে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ১৭০ কোটি ডলার ছিল; এই অর্থ দেশটি তারা বড়জোর এক মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে।
তাদের আমদানি ব্যয়ের সিংহভাগই যায় জ্বালানি কিনতে।
মঙ্গলবার খাজা আসিফ সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ করতে হবে।
সরকারি বিভাগগুলোকে বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে না এমন বৈদ্যুতিক ফ্যানের উৎপাদনেও জুলাই থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
“কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালানি সংরক্ষণ পরিকল্পনা কার্যকরে অনুমোদন দিয়েছে,” টুইটারে লিখেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজ (পিএমএল-এন)।
২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিকে কয়েক বছর ধরেই অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২০১৯ সালে তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলার বেইলআউট পেয়েছিল; গত বছরের অগাস্টে তারা সংস্থাটির কাছ থেকে আরও ১১০ কোটি ডলার নিয়েছে।
দেশটির সরকার সরকার আইএফএফের কাছ থেকে বেইলআউটের আরও ১১০ কোটি ডলার ছাড় করাতে দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে।
গত বছরের ভয়াবহ বন্যাও পাতিস্তানের অর্থনীতিকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। প্রলম্বিত ওই বন্যায় দেশটির ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক ৪ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে অক্টোবরে বলেছিল বিশ্ব ব্যাংক।