জার্মানিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে দেশজুড়ে চালানো অভিযানে ২৫ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, কট্টর-ডানপন্থি এবং সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের কর্মকর্তাদের একটি দল পার্লামেন্ট ভবন রাইখস্ট্যাগে হামলা চালিয়ে ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি নিয়েছিল।
জার্মানির স্বঘোষিত প্রিন্স হেনরিখ ত্রায়োদশ (৭১) এই ষড়যন্ত্রের হোতা বলে অভিযোগ আছে। ফেডারেল কৌসুলিরা বলেছেন, ১১টি প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে পালের গোদা হিসাবে অভিযুক্ত দুইজনের একজন হচ্ছেন তিনি।
ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে চরমপন্থি ‘রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের' সদস্যরাও আছে বলে শোনা গেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
জার্মান ‘রাইশ' শব্দের অর্থ সাম্রাজ্য, আর ‘ব্যুর্গার' মানে নাগরিক৷ রাইশব্যুর্গাররা নিজেদের জার্মান সাম্রাজ্যের নাগরিক বলে দাবি করে৷ আধুনিক জার্মানিকে নিজেদের রাষ্ট্র বলে মানতে রাজি নয় তারা৷ তাদের দাবি, ১৯৩৭ বা ১৮৭১ সালের জার্মান সাম্রাজ্যের সীমানাই আসল জার্মানি৷
সহিংস হামলা এবং বর্ণবাদী ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলনের সদস্যরা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। ‘রাইশব্যুর্গার আন্দোলন'-এর সঙ্গে কয়েকটি ছোট সংগঠন ও ব্যক্তিও জড়িত৷ গেপ্তার হওয়াদের মধ্যে এসব সংগঠনের সদস্যও আছে।
জার্মান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার দলটিতে আনুমানিক ৫০ জন পুরুষ ও নারী যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা বর্তমান জার্মান প্রজাতন্ত্রকে উৎখাত করে এর বদলে ১৮৭১ সালের জার্মানির আদলে একটি নতুন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়।