জঙ্গিরা যত কৌশলই নিক না কেন, র্যাবের সঙ্গে পারবে না বলে দাবি করেছেন এই বাহিনীর নতুন মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, “আমি আশ্বাস দিতে চাই, জঙ্গিরা যত বেশি স্মার্ট হোক না কেন, র্যাব ফোর্স তার চেয়ে বেশি স্মার্ট।”
সোমবার ঢাকার বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন র্যাবপ্রধান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জঙ্গিরা আগের মতো এখন সোশাল মিডিয়া কিংবা সাইবার স্পেস ব্যবহার করছে না, এই পরিস্থিতিতে র্যাব কীভাবে কাজ করছে?
পূজায় জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই বলেও জানান খুরশীদ।
তিনি বলেন, “গোয়েন্দা ও সাইবার তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি।
“সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আমরা বেশি তৎপর। সুতরাং আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।”
তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব সজাগ রয়েছে বলে জানান খুরশীদ।
“যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম ও র্যাবের এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন র্যাবের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।
“হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কোনোরূপ হামলা, পূজামণ্ডপ ভাঙচুর বা পূজার উপকরণ ভাঙা, ডাকাতি, চুরি ইত্যাদি সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
র্যাবপ্রধান বলেন, দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণ করছে বলে তিনি জানান।
পূজায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা র্যাব ডিজি উড়িয়ে দিলেও তিন দিন আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা এবং সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির ঝুঁকির কথা বলেছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “প্রায় ৫০ জন ছেলে তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন। তারা কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি ও অনেক দূর এগিয়েছি। আশা করি, তারা ফিল্ডে অপারেশনে আসার আগেই হয়ত তাদের ধরতে পারব।”
আরেক ঝুঁকির কথা বলতে গিয়ে শফিকুল বলেছিলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করা। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে। পূজায় জঙ্গি হামলা ও সাম্প্রদায়িক উসকানি সবসময় থাকে।”