চলতি বছরের জন্য বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ২১ লাখ টন ডিজেল এবং পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার, যাতে খরচ পড়বে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে চলতি জানুয়ারি থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৬০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করবে। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামা করলেও বৈঠকে পাস হওয়া তথ্য অনুযায়ী এসব ডিজেলের প্রতি লিটারের দাম ৯০ টাকা ৮৪ পয়সার মধ্যে থাকবে। তবে দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি সাঈদ মাহবুব।
তিনি জানান, বিপিসির আরেক প্রস্তাবে বিশ্বের ছয় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সাত প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ১৮ হাজার ২১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইএনওসি, ভারতের আইওসিএল, চীনের পেট্রো চায়না, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি ও চীনের ইউনিপ্যাক থেকে এই কেনাকাটায় প্রতি লিটার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পড়বে ৮৯ টাকা ২৯ পয়সা।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৬৭ লাখ টন জ্বালানির প্রয়োজন হয়েছিল; এই চাহিদা প্রতিবছরই ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে।
ওই বছর দেশের মোট চাহিদার মধ্যে ৬ থেকে ৭ লাখ টন জ্বালানির যোগান আসে এসেছিল দেশীয় উৎস থেকে। সরকারি পরিশোধন কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি পরিশোধন করার সক্ষমতা রয়েছে।
পুরো ২০২৩ সালের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানির একটি প্রস্তাব গত অক্টোবরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাস করিয়ে রেখেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।