চীনের হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: December 22, 2022 13:36:49 | Updated: December 22, 2022 17:35:53


সাংহাইয়ের কাছে এক গ্রামের বয়স্ক একজন বাসিন্দাকে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, চীনে কোভিড-১৯ এর নতুন একটি ঢেউয়ের আঘাত নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশটির হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

ডব্লিউএইচও-র কর্মকর্তা ডাঃ মাইকেল রায়ান বলেছেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো (আইসিইউ) ব্যস্ত যদিও চীনের কর্মকর্তারা রোগীর সংখ্যা ‘তুলনামূলকভাবে কম’ বলে দাবি করছেন।  

চীনের পরিসংখ্যানগুলোতে বুধবার কোভিডে কেউ মারা যায়নি বলে দেখাচ্ছে কিন্তু দেশটিতে রোগটির প্রকৃত প্রভাব নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে, জানিয়েছে বিবিসি।

সম্প্রতি কোভিডের নতুন ঢেউ শুরু হওয়ার পর বেইজিং ও অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে যাচ্ছে।

২০২০ সাল থেকে চীন তাদের জিরো কোভিড নীতি অনুযায়ী কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে এসেছে। কিন্তু কঠোর ওই নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভের পর দেশটির সরকার দুই সপ্তাহ আগে অধিকাংশ বিধিনিষেধই তুলে নিয়েছে।

এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এতে বয়স্কদের মধ্যে উচ্চ মৃত্যুর হারের আশঙ্কাও বাড়তে শুরু করে। 

রোগীর এই বৃদ্ধি সত্ত্বেও সরকারি পরিসংখ্যানগুলোতে মঙ্গলবার মাত্র পাঁচজনের ও সোমবার দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেখানো হয়।

এসব দেখে ডব্লিউএইচও-র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচীর প্রধান ডাঃ রায়ান করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক বিস্তারের বিষয়ে চীনকে আরও তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “চীনে আইসিইউতে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক রোগী আছে বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ব্যক্তি পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে আইসিইউ ভরে গেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, এই অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসটিকে ‍শুধু জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুরোপুরি থামানো সবসময়ই অত্যন্ত কঠিন।”

জেনিভায় সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ডব্লিউএইচও-র প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, “চীনের বিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন।”

রোগের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি ও নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে ‘বের হওয়ার কৌশল টিকা’ বলে এ সময় মন্তব্য করেন ডাঃ রায়ান।

চীন নিজস্ব টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করলেও সেগুলো গুরুতর কোভিডজনিত অসুস্থতা থেকে লোকজনকে রক্ষার ক্ষেত্রে এমআরএনএ টিকার চেয়ে কম কার্যকর বলে দেখা গেছে। 

Share if you like