Loading...
The Financial Express

চার দিন পর নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে ‘হতভম্ব, হতবিহ্বল’ বিএনপির নেতারা

| Updated: December 11, 2022 22:51:34


চার দিন পর নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে ‘হতভম্ব, হতবিহ্বল’ বিএনপির নেতারা

নয়া পল্টনে পুলিশি ব্যারিকেড সরে যাওয়ায় চার দিন পর নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকলেন বিএনপির নেতারা।

রোববার দুপুরে কার্যালয়ে ঢোকার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বললেন, “পুলিশের তাণ্ডব লীলা দেখে আমরা দেখে হতভম্ব, আমরা হতবিহ্বল।”

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিকরাও ঢোকেন ওই কার্যালয়ে। দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি কক্ষের দরজা ভাঙা, আসবাবপত্র তছনছ করা, টেবিলে গ্লাস ভেঙে পড়ে আছে, আলমারি ভেঙে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ভাঙা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, “এই অফিসে ঢুকে আজকে এটা মনে হয়েছে, সারা দেশকে সরকার যেরকমভাবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে, সেই রকমই বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসও লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।”

বিএনপির ঢাকার সমাবেশস্থল নিয়ে দলটির সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে গত বুধবার নয়া পল্টনে চড়াও হয় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বহু আহত হয়।

এরপর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং কয়েকশ নেতা-কর্মীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

সেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়েও পুলিশের বাধায় পারেননি। পরদিনও তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তাকেও বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানের সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপি কার্যালয় থেকে তাদের উপর হাতবোমা ছোড়া হয়েছিল, এখানে নাশকতার পরিকল্পনা হয়েছিল। সেজন্য এটি এখন ‘ক্রাইম সিন’, তাই কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

নয়া পল্টন ছেড়ে বিএনপি শনিবার গোলাপবাগ মাঠে জনসভা করার সময়ও বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। তখন পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলে এবং নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে গেলে নয়া পল্টনের অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।

রোববার সকালে পুলিশ অবরোধ তুলে নেওয়ার পর দুপুরে বিএনপির নেতারা ঢোকেন দলীয় কার্যালয়ে। তাদের সঙ্গে দলীয় আইনজীবীরাও ছিলেন।

দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের নিন্দা জানিয়ে প্রিন্স বলেন, “একটা স্বাধীন, সভ্য দেশে একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর তো বটেই, চেয়ারপারসনের কার্যালয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয়, মহাসচিবের কক্ষসহ সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।

“এই লণ্ডভণ্ড কাজের সাথে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আমরা দাবি জানাচ্ছি।”

কাকে দায়ী করছেন- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে দায়ী করছি। তারা ব্যর্থ-অযোগ্য, গণআন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য, ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে নস্যাৎ করার জন্য তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে।”

বিএনপি নেতারা তাদের চেয়ারপারসনের দপ্তর, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দপ্তর, মহাসচিবের কক্ষ, কেন্দ্রীয় দপ্তর, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, জাসাস, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর তছনছ কক্ষ সাংবাদিকদের দেখান।

Share if you like

Filter By Topic