সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে 'চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম, বাংলাদেশ' ব্যানারে সড়ক আটকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় একদল চাকরিপ্রত্যাশী। এর আগে একই দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের অবস্থানের ফলে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশও অবস্থান নেয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিকাল ৫টার দিকে লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ, থানায় ধরে নিয়ে যায় কয়েকজনকে। পরে আন্দোলনকারীরা বিচ্ছিন্নভাবে শাহবাগ থানা ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদ সেতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৮ জনকে আহত করেছে। সোনিয়া ও শাওন নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
“কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে তানজিদ নামে একজন ছাড়া সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। তানজিদকে না ছাড়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করব।”
তবে শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাউকে আটক করা হয়নি। যানজট ও জন দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র আন্দোলন করতে বলা হয়েছে।”
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। এই সীমা বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে, যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
মহামারীর মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের জন্য দুই দফা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেবছর সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মহামারী প্রলম্বিত হতে থাকায় পরের বছর আরেক দফা সুযোগ দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য সব সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ পান।