চাঁদপুরে লঞ্চের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে এক যাত্রীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান চাঁদপুর নৌ-থানার ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. কামরুজ্জামান।
নিহত মো. সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকার মো. স্বপন গাজীর ছেলে। ৩২ বছর বয়সী সুমন ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকা থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হন সুমন। লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি আসলে লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে বাবু নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় সুমনের। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাবু সুমনকে হুমকি-ধমকি দেয়।
“লঞ্চটি রাত সোয়া ১১টায় চাঁদপুর ঘাটে ভিড়লে বাবু ও তার বন্ধুরা সুমনের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সুমনকে বেদম মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। সুমনের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।”
গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, “সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বুকে আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়।”
নিহতের ভাই শরীফ গাজী জানান, সুমন তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি বিবাহিত। সম্প্রতি তিনি দুই লাখ টাকা ঋণ করে এলাকায় জমি কিনেছিলেন। সেই ঋণের মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতেই তিনি চাঁদপুর এসেছিলেন।
শরীফ বলেন, “আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
একই দাবি জানান সুমনের চাচাতো ভাই মনির হোসেন ও মিজানুর রহমানও।
নৌ-থানার ওসি বলেন, এই ঘটনায় আট জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।