স্থপতি, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবাশ্বের হোসেন আর নেই; তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
রোববার রাত ১টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়নেটিফোর ডটকমেরর।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “মোবাশ্বের হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সবশেষ দুই মাস উনাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। তখন উনার ডায়ালাইসিস করা যাচ্ছিল না।”
ধীরে ধীরে শরীরের অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিদেশে নিতে, কিন্তু উনার শরীরের নাজুক অবস্থার কারণে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় উনি গত রাতে চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।”
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ও পরিবেশকর্মী মোবাশ্বের হোসেন ছিলেন এসোকনসাল্ট লিমিটেডের প্রধান স্থপতি। কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অব আর্কিটেক্টস এবং আর্কিটেক্টস রিজিওনাল কাউন্সিল, এশিয়ার (আর্কেশিয়া) প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মোবাশ্বের হোসেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।
পরিবেশ ও নাগরিক আন্দোলনে সোচ্চার এই স্থপতি ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সহ-সভাপতি ছিলেন।
মোবাশ্বের হোসেনের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা এই স্থপতি দেশের বেশ কয়েকটি আলোচিত স্থাপনার কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন,প্রশিকা ভবন, গ্রামীণ ব্যাংক ভবন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তার মরদেহ সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে রাখা হবে। জোহরের পর সেখানে তার জানাজা হবে। পরে বাদ আছর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে আরেক দফা জানাজা হবে।
স্থপতি ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার দেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে দান করা হবে।