বাংলাদেশে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে, সেবার রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়ানোর সঙ্গে মারা গিয়েছিল ১৬৪ জন। ২০২২ সালে এসে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা এখনও অর্ধ লক্ষ না ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২০০।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে এইডিস মশাবাহিত এই রোগে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তাদের নিয়ে এই বছরে এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০২ জন।
এই শতকের শুরুতে দেশে ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়তে শুরু করলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিসাব শুরু করে অনেক পরে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তাতে ২০১৮ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। ২০০০ সালে মারা যায় ৯৩ জন।
মাঝে ২০১৯ সালে ২৬৩টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৬৪টি ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সম্প্রতি অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯ সালে মৃতের সংখ্যা ১৭৯ বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে এর যে কোনো সংখ্যা ধরলেও ২০২২ সালে মৃত্যু আগের সব হিসাব ছাড়িয়ে গেল।
অধিদপ্তরের হিসাবে শুধু হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে ধরা হয় বলে হাসপাতালের বাইরে কারও মৃত্যু হলে তা এই হিসাবে আসছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৫৯ জনের হাসপাতালে যাওয়ার খবর দেওয়া হয়েছে। তাতে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৫২৯ জনে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যাও ২০১৯ সালের পর সর্বাধিক। ২০১৯ সালে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪।
গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের ৪২৬ জন ঢাকায় এবং ৪৩৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।