চট্টগ্রামে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে লাইটারেজ শ্রমিকরা


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: November 11, 2022 16:37:49 | Updated: November 12, 2022 17:32:19


ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস ও পরিবহনের কাজ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

পাঁচ দফা দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ব্যানারে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থারত জাহাজ থেকে নৌপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ হয়ে যায়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

বহির্নোঙ্গরের বড় জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) থেকে আমদানি করা পণ্য ছোট জাহাজে (লাইটারেজ) করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে লাইটারেজ শ্রমিকদের ওঠানামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, পতেঙ্গা থানার ওসিকে অপসারণ এবং সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটারেজ জাহাজের জন্য নিরাপদ পোতাশ্রয় নির্মাণের কথা রয়েছে।

লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তা বিবেচনায় কর্ণফুলী নদীর বদলে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষমান লাইটারেজ জাহাজগুলো পতেঙ্গা সি বিচের কাছে সাগরে নোঙ্গর করা হত। সেখানকার শ্রমিকদের যাওয়া আসার জন্য ব্যবহার করা হতো পতেঙ্গার চরপাড়া ঘাট। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি ইজারা দেয়।

ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চরপাড়া ঘাট শুধুমাত্র তাদের শ্রমিকদের আসা যাওয়ার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দর চেয়ারম্যান কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সেটি ইজারা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনান হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

“ইজারাদাররা ওই ঘাটে আমাদের কিছু শ্রমিককে কয়েকবার মারধরও করে। গত ৩ নভেম্বর আমাদের ১০- ১২ জন শ্রমিককে মারধর করার পর প্রতিবাদ হিসেবে পারকি সংলগ্ন এলাকার চাইনিজ ঘাট ব্যবহার শুরু করলে সেটিও বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সমাবেশ করে ধর্মঘটের ডাক দেয়।”

এদিকে ধর্মঘটের কারণে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটেও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। সমঝোতার জন্য লাইটারেজ শ্রমিকদের শুক্রবার বিকালে বৈঠকে ডেকেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সংস্দ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন।

Share if you like