ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার ২২ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে ‘স্বেচ্ছা কারাবরণে’ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে গণ অধিকার পরিষদ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় থেকে নূরুল হক নুরের নেতৃত্বে শুরু হয় এই কর্মসূচি।
তাদের মিছিল পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণের ফটক বন্ধ করে দেয়। এরপর ফটকের সামনে রাস্তায় সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করে নূররা।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর বলেন, “আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে সমবেত হয়েছি। আদালত যদি ন্যায়বিচার করে তো আমরা চলে যাব। আর যদি ন্যায়বিচার না পাই, তাহলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব।“
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল গণ অধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ। তবে তা ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয়ে যায়।
আহত নেতা-কর্মীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে সেখানেও ছাত্রলীগের কর্মীরা হাজির হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইনসহ ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
শনিবারের সমাবেশে নূর বলেন, “আবরার ফাহাদের স্মরণসভা করা কি অন্যায়? মার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া কি অপরাধ? এটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সবাই অপরাধী। আমার ভাইদের মুক্তি দেন। অন্যথায় আমাদেরও গ্রেপ্তার করুন।”
আদালত প্রাঙ্গণে ঘণ্টাখানেক অবস্থান শেষে দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত করে নূর বলেন, “আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত কর্মসূচি সমাপ্ত করছি।“
দুই দিনের মধ্যে নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দেওয়া হলে ‘কঠোর’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন নূর।
এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের ২২ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ করলেও ছাত্রলীগ নেতার মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ২৪ জনকে আদালতে চালান করা হয়েছে জানান শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল সংঘর্ষের ঘটনায় মো. নাজিম উদ্দিন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা মামলা করেছেন। মামলার ভিত্তিতে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয়েছে।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন গুরুতর আহত হন বলে জানায় পুলিশ। রাতে তিনি পরিষদের ১৮ নেতা-কর্মীর নামে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।