স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গোলাপী ফিতাকে ধরা হয় প্রতীক হিসেবে; সেই প্রচারাভিযান ৩০ বছর পূর্ণ করল এ বছর।
ব্যবসায়ী ইভলিন লাউডার এই প্রতীক তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন। লাউডার মারা যান ২০১১ সালে। এইডস সচেতনায় লাল ফিতার প্রতীক থেকে অণুপ্রাণিত হয়েই ১৯৯২ সালে তিনি গোলাপী ফিতার কথা ভাবেন।
১৯৯৩ সালে দ্য ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন লাউডার। বিশ্বে পিংক রিবন নামে পরিচিত এই গোলাপী ফিতা নারীকে মনে করিয়ে দেয় তার স্তন পরীক্ষার কথা।
নানা পণ্যের গায়েও এই গোলাপী ফিতা দেখা যায়। এর অর্থ, ওই পণ্য বিক্রি থেকে যা আয় হবে, তার কিছু অংশ স্তন ক্যান্সার সচেতনা অথবা গবেষণায় অনুদান হিসেবে যাবে।
ইভলিনের সন্তান উইলিয়াম পি লাউডার ইস্টি কোম্পানিস ইনকরপোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ”আমার মা বলতেন, এইডস রোগে যতজন শনাক্ত হয়, তার চেয়ে বেশি নারীর প্রতিদিন স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে। প্রতি আটজনে একজন আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে।
”আর আমরা জানি, এই অক্টোবর এখন... স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস।”
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি বলছে, যত ধরনের ক্যান্সারে নারীর মৃত্যু হয়, এর মধ্যে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্তন ক্যান্সার।
এ ক্যান্সারে নারীর মারা যাওয়ার ঝুঁকি আড়াই শতাংশ, অর্থ্যাৎ প্রতি ৩৯ জনে মারা যায় একজন।
ইস্টি লাউডারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে গবেষণা, শিক্ষা ও মেডিকেল সেবায় তারা ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে স্থানীয় পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে এমন ৬০টির বেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে তারা।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৮৯ সাল থেকে স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুহার কমে আসছে।
তবে পুরো বিশ্বে এখনও যে অনেক কিছু করার বাকি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ইভলিন এইচ লাউডার ব্রেস্ট সেন্টারের মেডিকেল পরিচালক ডা. ল্যারি নরটন।
তিনি বলেন, “রোগ শনাক্ত ও থেরাপি যদি উন্নত করা যেত এবং বড় পরিসরে তা প্রয়োগ করা যেত তাহলে পরিস্থিতি আরও বদলে যেত। পুরো আমেরিকার জনসংখ্যার জন্য এভাবে সেবা দিলে ভালো হত।”
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কারেন কেনুডসেন বলেন, “গোলাপী ফিতার তিন দশকের প্রচার সচেতনতা বাড়াতে কাজে দিয়েছে। গবেষণা করার তাগিদও বাড়িয়েছে।
“গোলাপী ফিতা এবং এখানে নারীর এই শক্তিকে আমি শ্রদ্ধা করি।”