গোলাপবাগে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে ঝঞ্ঝাটে বিএনপিকর্মীরা


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: December 10, 2022 12:21:43 | Updated: December 10, 2022 18:14:20


বিএনপির নেতা-কর্মীতে শনিবার সকালেই ভরে উঠেছে গোলাপবাগ মাঠ

সমাবেশস্থল ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে আগের রাতে জড়ো হয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করেছিলেন বিএনপির কর্মীরা; তবে সকাল গড়ালে জনসমাগম বাড়ার সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে ঝঞ্ঝাট পোহাতে হচ্ছে তাদের। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

অনিশ্চয়তার মধ্যে শেষ মুহূর্তে ঢাকার গোলাপবাগে শনিবার সমাবেশ করছে বিএনপি, ফুটবল মাঠটিতে শনিবার সকাল ১১টায় এই সমাবেশ শুরু হয়েছে।

তবে নেতা-কর্মীরা বলছেন, সমাবেশস্থলে মোবাইলে নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছে, ইন্টারনেটও পাওয়া যাচ্ছে না।

শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকার মিরপুর থেকে গোলাপবাগের সমাবেশে যোগ দেন মহিলা দলের কর্মী রোজিনা ইসলাম। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এখান থেকে (গোলাপবাগ) লাইভ করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ইন্টারনেটের কোনো স্পিড নাই। সায়েদাবাদে আমার একজন আত্মীয় আছেন, উনার সাথে দেখা করার কথা আমার। অথচ তাকে কলও করতে পারছি না। মোবাইলে কোনো নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না।

আশরাফ নামে যুবদলের এক কর্মী বলেন, “মাঠের পাশেই আমার বাসা। কিন্তু সকাল থেকেই আমি মোবাইলে কথা বলতে গেলে কথা কেটে যাচ্ছে। কল ঢুকছে না। মোবাইলের ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছি না। আর মাঠে ঢোকার পর থেকে দেখছি মোবাইল নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেট একেবারেই ব্যবহার করা যাচ্ছে না।”

বিএনপির আরেক কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তিনি অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

“আমার মোবাইলের ইন্টারনেটের স্পিড মোটামুটি ভালো। কিন্তু এখানে আসার পর নেটই পাচ্ছি না। আর ইন্টারনেট পাব কী, মোবাইলে কলই তো করতে পারতেছি না।”

এদিকে গোলাপবাগের মাঠে অবস্থান করা কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও মোবাইলের নেটওয়ার্কের সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকমকে এক সংবাদকর্মী বলেন, “মাঠের ভেতরে ইন্টারনেট একেবারে নেই বললেই চলে। আমি মাঠের একেবারে কোণায় গিয়ে মোবাইলে কথা বলেছি, তাও কথা কেটে যাচ্ছে, কথা বোঝা যাচ্ছে না।” 

এর আগে বিভিন্ন বিভাগে বিএনপির সমাবেশের সময়ই ওই সব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হয়েছিল। বিএনপিকর্মীদের অভিযোগ, সরকারই দায়ী।

যুবদলকর্মী আশরাফ বলেন, “সমাবেশটা পণ্ড করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।”

মহিলা দলের কর্মী রোজিনা বলেন, “আমরা যেন যোগাযোগ করতে না পারি, সরকার সেজন্য ইচ্ছা করেই এমন করেছে।”

তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক কর্মকর্তার দাবি, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণ তারা জানেন না।

তবে তিনি বলেন, “এক স্থানে হঠাৎ জনসমাগম বেশি হলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে। কিন্তু আমরা জানি না কেন ইন্টারনেট স্লো হয়েছে বা মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।”

বিএনপির সমাবেশের আগেরদিন শুক্রবার এক খোলা চিঠিতে দেশে ইন্টারনেট সেবা নির্বিঘ্ন করতে বিটিআরসি এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশসহ (এএমটিওবি) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠন।

Share if you like