বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার এ বিষয়ক নির্দেশনা দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উপধরন দেখা দিয়েছে। ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ এর কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিবেশী দেশে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য বন্দরগুলোয় সতর্কতা জারি করতে হবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নতুন এ উপধরন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে ‘স্ক্রিনিং’ জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে এতে বলা হয়, সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলেন, “চীনে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিএফ.৭। এটা বিএ.৫ এর একটা সাব ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত করার ক্ষমতা আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে চারগুণ বেশি।
“এ ভ্যারিয়েন্টের আরেকটা বিপদের দিক হচ্ছে এটার ইনকিউবেশন পিরিয়ড খুব সংক্ষিপ্ত। তার মানে কম সময়ের মধ্যে আপনি আক্রান্ত হবেন, চার গুণ বেশি মানুষকে আক্রান্ত করবেন।”
ডা. আহমেদুল বলেন, অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই ধরনে ঝুঁকি বেশি।
এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।