ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে বিমান হামলার সাইরেন বাজার পরপরই অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
কিইভের মেয়র ভিতালি ক্লিটচকো বলেছেন, হামলায় কেন্দ্রীয় শেভচেনকিভস্কি এলাকার আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দপ্তরের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাখ বলেছেন, তথাকথিত আত্মঘাতী কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
কিইভে থাকা বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৭টার দিকে বিস্ফোরণগুলো ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর হয়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে সকালের ব্যস্ত সময়ে কিইভে আঘাত হেনেছিল রাশিয়ার ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র, ওই সময় দেশটিজুড়ে চালানো হামলায় মোট ১৯ জন নিহত হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে ক্লিটচকো লিখেছেন, শেভচেনকিভস্কি এলাকায় হামলাগুলো চালানো হয়েছে, গত সপ্তাহেও এখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে আছে জানিয়ে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের বোম্ব শেল্টারগুলোতে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
টেলিগ্রামে ইয়েরমাখ বলেছেন, কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ ইউক্রেইনের আরও বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম দরকার।
জানা গেছে, কামিকাজে ড্রোন ইরান রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে। এসব ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কয়েক ঘণ্টা ধরে আকাশে অবস্থান নিয়ে থাকতে পারে। এর আগেও রাশিয়া এগুলো ব্যবহার করেছে বলে ইউক্রেইন জানিয়েছে।
ইরান রাশিয়াকে এসব ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে, অপরদিকে রাশিয়া এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী কের্চ সেতুতে বোমা হামলা চালানো প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেইনে হামলা চালানো হচ্ছে। কের্চ সেতুতে হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে এরজন্য ইউক্রেইনকে দায়ী করেছেন তিনি।
ইউক্রেইন যুদ্ধ চলাকালে তখনই প্রথমবারের মতো কইভের কেন্দ্রস্থল শেভচেনকিভস্কি এলাকায় সরাসরি হামলা চালানো হয়।
চলতি সপ্তাহে পুতিন জানান, ইউক্রেইনে বড় ধরনের হামলা চালানোর আর কোনো দরকার নেই, মনোনীত অধিকাংশ লক্ষ্যে আঘাত হানা হয়েছে। ইউক্রেইনকে ধ্বংস করার কোনো উদ্দেশ্য তার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।