উগ্র সমর্থকগোষ্ঠীগুলো সবসময় মাথাব্যথার কারণ। কদিন পরই শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আয়োজন সুন্দর ও নিরাপদ করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাগতিক কাতার।
আসরে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনাও নিয়েছে কড়া পদক্ষেপ। ছয় হাজার সমর্থককে নিষিদ্ধ করেছে তারা।
সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, খাবারের বিল বকেয়া রাখার মতো কাজের সঙ্গে জড়িত ছয় হাজার উগ্র আর্জেন্টাইন সমর্থককে বুয়েন্স এইরেস নগর কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ করেছে বলে প্রতিবেদন ছেপেছে রয়টার্স।
কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সোমবার জানিয়েছে বুয়েন্স এইরেস কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বুয়েন্স এইরেস সিটির বিচার ও নিরাপত্তা মন্ত্রী মার্সেলো দি’আলেহান্দ্রো সোমবার স্থানীয় এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উগ্র সমর্থকদের নিষিদ্ধ করার কথা জানান।
“এই উগ্র সমর্থকেরা এখানে এবং কাতারে আছে। আমরা ফুটবলে শান্তি ফেরাতে চাই এবং উগ্র সমর্থকদের মাঠের বাইরে রাখতে চাই।”
“এই সমর্থকদের মধ্যে আছে বারাস (সহিংস সমর্থক), হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ফুটপাতে নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘ত্রাপিওস’ এবং খাবারের বিল বকেয়া রাখারা।”
এই বিষয়গুলো ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাতারের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন দি’আলেহান্দ্রো।
আর্জেন্টিনার উগ্র সমর্থক এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের কাতার বিশ্বকাপ থেকে দূরে রাখতে গত জুনে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় কাতার দূতাবাসের সঙ্গে একটা সহযোগিতামূলক চুক্তি সাক্ষর করেছিল।
তবে এই উগ্র সমর্থকদের লাগাম বুয়েন্স এইরেস কর্তৃপক্ষ শক্তভাবেই টেনে ধরছে। কেবল কাতারে নয়, এই ছয় হাজারের মধ্যে তিন হাজারের মতো ‘বার্রাব্রাভাস’কে (উগ্র সমর্থকগোষ্ঠী) স্থানীয় লিগ ম্যাচেও মাঠে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন দি’আলেহান্দ্রো।
‘সি’গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে আছে সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু করবে ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।