কিডনি রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের অবাসন হল, হাসপাতালের ‘লাইফ সাপোর্ট’থেকে আ জীবনে ফেরানো গেল না ‘ইত্যাদির’গায়ক আকবর আলী গাজীকে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে রোববার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয় বলে গ্লিটজকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন আকবর। ২০০৩ সাল থেকেই তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বছর পাঁচেক আগে কিডনির সমস্যা বেড়ে গেলে স্টেজ শো বাদ দিতে হয় তাকে।
এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে আকবরকে। পায়ে পচন ধরার কারণে অস্ত্রোপচার করে ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
অক্টোবরে ঢাকার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকবর। সেখান থেকে ১৯ অক্টোবর তাকে বাসায় নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ নভেম্বর তাকে বারডেমে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সেখানেই মারা যান তিনি।
গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। খুলনার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরে। প্রথাগত পদ্ধতিতে গান না শিখলেও আকবরের ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন।
২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাগেরহাটের এক ব্যক্তি হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লিখে এই গায়কের কথা জানান। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ওই বছর ‘ইত্যাদিতে’কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে। পরে ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটিও এই শিল্পীকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
আকবর দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পরিবারকে। সেজন্য ধার-দেনা করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে।
আকবরের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও কাছের মানুষেরা সহযোগিতা করেছেন।