ঢাকার গুলশানের একটি দোকান থেকে এমএফএসে টাকা পাঠানো নিয়ে ঝামেলার জেরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছেন, তাতে আহত হয়েছেন দুজন।
রোববার গুলশান শপিং সেন্টারের নিচ তলার একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে বলে মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদুর রহমান মনির জানান।
পুলিশ বলছে, ওই ঘটনায় অস্ত্রধারী ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু এবং হুমায়ুন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু পুলিশকে বলেছেন, তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি। তার আটক হওয়ার খবর শুনে তার অনুসারী কিছু নেতাকর্মীও গুলশান থানার সামনে জড়ো হন।
গুলশান শপিং সেন্টারের নিরাপত্তা কর্মী শহীদুল ইসলাম খান জানান, দুপুরের দিকে আলফা জেনারেল স্টোর নামের একটি দোকান থেকে হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন। দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিম টাকা চাইলে ওই ব্যক্তি জানান, তার কাছে এত নগদ টাকা নেই। এ নিয়ে দুপুর থেকে বিতণ্ডা চলছিল।
“টাকা দিতে না পারায় মার্কেটের লোকেরা হুমায়ুনকে আটকে রাখে। পরে তিনি আত্মীয় বা বন্ধুদের কাছে ফোন করে সাহায্য চান। বিকাল ৪টার দিকে লাল গেঞ্জি পরা (ওয়াহিদ) এক লোকসহ কয়েকজন আলফা জেনারেল স্টোরে এসে উল্টো দোকানদারের ওপর চড়াও হন।
“তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে দোকানদারেরা ধাওয়া দিলে লাল গেঞ্জি পরা লোকটি (ওয়াহিদ) জনতার ওপর গুলি চালায়। এরপর তিনি পাশের গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফেতে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।”
নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল বলেন, হুমায়ুন প্রতারণার শিকার হয়ে বিভিন্ন নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বলে স্থানীয় দোকানদের বলছিলেন।
ঘটনাস্থলে থাকা পিকাপ চালক আলমাস বলেন, এলাপাতাড়ি গুলিতে ভ্যানচালক রহিমসহ দুজন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের কোথায় নেওয়া হয়েছে সেটি তিনি জানেন না।
“লোকটি (ওয়াহিদ) জনতার দিকে তাক করে অন্তত দুটি গুলি ছোঁড়েন। সেইসঙ্গে উপরের দিকে অস্ত্র তাক করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন।”
এডিসি মাসুদুর রহমান মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে বিকাশের টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এরপর মার্কেটের লোকেরা তাদের ওপর চড়াও হলে লোকটি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে।”
ওই ঘটনায় দুজন আহত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অস্ত্রটির লাইসেন্স আছে কী না, যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।