টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজনকে এতবার দলের দায়িত্ব নেয়া অবশ্যই ঠিক নয়, কিন্তু বিশ্বের অস্থির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে দলের নেতৃত্ব ভার গ্রহণে রাজি হয়েছেন তিনি।
বাসস জানায়, রবিবার গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে শেখ হাসিনা বলেন, “একজনকে এতোবার দায়িত্ব নেয়া অবশ্যই ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এ দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে যে আমারও বয়স বাড়ছে।”
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলকে শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো শক্তি।
তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দলকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন। আপনাদের প্রতি এ আমার অনুরোধ।
তিনি আরো বলেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ো শক্তি। আমাদের আর কোন শক্তি নেই। আমরা কেবলমাত্র জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে যদি জনগণকে পথ দেখাতে পারে, তাহলে দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ প্রধান প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলীয় কার্যালয় স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউনিটকে তাদের অফিস স্থাপনে সাহায্য করবে, যদি তারা অক্ষম হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি কার্যালয় থাকা দলের জন্যে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে পুরো দেশের সাথে যোগাযোগের সুযোগ আমাদের রয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ সহজ করে তুলতে আমি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই।
তিনি দলকে শক্তিশালী করতে নতুন সদস্য নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আটটি বিভাগে আটটি নতুন দল গঠন করবো। তারা নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা এ দেশের মাটি ও জনগণ থেকে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে, যারা সংবিধান লংঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে।
এ কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু গণমানুষের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।