আগে কিছু ‘উল্টাপাল্টা’ করলেও এখন র্যাবের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় ওঠার মধ্যে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই দাবি করেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মোমেন বলেন, “র্যাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে, র্যাবও তো কিছু উল্টাপাল্টা কাজ করেছে। এটাই বাস্তবতা, অস্বীকার করতে পারবেন না তো।
“এখন অনেক ম্যাচিউরড, আগে প্রথমদিকে র্যাব অনেক লোকজনকে খামোখা কী করে ফেলেছে, কিন্তু বিষয়গুলো পরিবর্তন হয়েছে। র্যাবের জবাবদিহিতা অনেক উন্নতি করেছে।”
বিএনপির শাসনকালে ২০০৪ সালে র্যাব গঠনের শুরুর দিকে এ ধরনের অভিযোগ বেশি ছিল বলে দাবি করেন মোমেন।
র্যাবের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে উন্নতি হওয়ার কথা বলতে গিয়ে প্রায় তিনশ’ কর্মকর্তার পদাবনতি বা চাকরিচ্যুতির উদাহরণ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবসহ এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি।
তবে ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমানোর ক্ষেত্রে র্যাবের কাজের প্রশংসা করেন। তবে তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময়সীমার কোনো ইঙ্গিত দেননি বলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উগ্রবাদীদের দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘নেতৃত্বের অবস্থানে’ রয়েছে বলেও দাবি করেন মোমেন।
তিনি বলেন, “আমরা এটাতে খুব সফল। ২০১৭ সালের পরে তো কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাংলাদেশে হয় নাই।
“আমেরিকাতেও সন্ত্রাসী হয়, তারা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও নিয়েছি। এটা এমন বিষয়, যা আমাদের প্রায় মিলে যায়।”
দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি ও শক্তিশালী করতে ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এসেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “উনি এসেছেন, আমাদের সম্পর্কের উন্নতিতে সহযোগিতা করার জন্য। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য।
“যে সমস্ত জিনিসে এটা উন্নতি করবে, সেই জিনিসই তিনি চেষ্টা করেছেন। আর আমরাও বলেছি যে, আমাদের কিছু কিছু দুর্বলতা আছে, উনিও স্বীকার করেছেন যে, আমেরিকাতেও আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে, এটা পারফেক্ট নয়। সুতরাং আমরা একই রকম অবস্থানে।”