উইসকনসিন রাজ্যে জিতে গেছে রিপাবলিকান পার্টি। নেভাডা, জর্জিয়া, ও অ্যারিজোনা রাজ্যের ফল জানা এখনো বাকি। এই তিন রাজ্যের ফল নির্ধারণ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের নিয়ন্ত্রণ কারা পেতে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটদের ৪৮ আসনের বিপরীতে রিপাবলিকানরা একটি আসনে এগিয়ে যাওয়ায় তাদের মোট আসন এখন ৪৯টি বলে নিশ্চিত করেছে সিএনএন। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের দখল পাওয়ার পথেও আরো একধাপ এগিয়ে গেছে রিপাবলিকানরা।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি এখনও সেনেটে ডেমোক্র্যাটিকরা ৪৮টি এবং রিপাবলিকানরা ৪৮টি আসন পেয়েছে বলে জানাচ্ছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এ নির্বাচনে সেনেটের ৩৫টি আসনে এবং প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতে ভোট হয়েছে; তবে কিছু আসনে ভোট গ্রহণ এখনও চলছে। পাশাপাশি এদিন ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর পদেও ভোট হয়েছে।
এ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সেনেটে দুই পক্ষের উভয়েরই ৫০টি করে আসন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের টাই-ব্রেকিং ভোটের কারণে উচ্চ এ কক্ষটির নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই ছিল।
প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা ২০৩টি আসন পেয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আর বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ১৮৭টি আসন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে দরকার ২১৮টি আসন।
গভর্নর নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে রিপাবলিকানরা শুরুতে এগিয়ে থাকলেও ডেমোক্রেটরা এখন ব্যবধান কমিয়ে আনছে।
প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্রেটদের হাতছাড়া হয়ে গেলে মেয়াদের বাকি দুই বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, ডেমোক্রেটদের চাহিদা অনুযায়ী আইন পাসে বাধার মুখে পড়তে হবে তাকে।
তবে এ নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষে ‘লাল ঢেউ’ হওয়ার সম্ভাবনা ম্লান হয়ে গেছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। নিম্ন কক্ষের কিছু রিপাবলিকান প্রতিনিধি এবারের নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা থাকায় প্রতিনিধি পরিষদ দলটির নিয়ন্ত্রণে গেলেও তাদের এগিয়ে থাকার ব্যবধান খুব বেশি হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছিল, এবার তার চেয়ে কম ভোট পড়লেও গত অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ে মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে এবার ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোটার ৮ নভেম্বর ভোট দিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি।
এ বছর রিপাবলিকান পার্টি শেতাঙ্গ নারীদের ভোট বেশি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ভোটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই শেতাঙ্গ নারী ভোটাররা। ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে উভয় দলই শেতাঙ্গ নারী ভোটারদের ভোট হারিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের লাতিন জনগোষ্ঠী বরাবরই ডেমোক্র্যাটিক দলকে সমর্থন করে। তবে এবার ডেমোক্র্যাটরা তাদের সমর্থন কিছুটা হারিয়েছে।
সিএনএন-র খবরে বুথ ফেরত তথ্যানুযায়ী, এবার ৫৫ শতাংশের সামান্য কম লাতিন পুরুষ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন দিয়েছে, আগের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যা ছিল ৬৩ শতাংশ।
এবার লাতিন নারীদের ভোটও হারিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তারপরও দলটি এখনও দুই-তৃতীয়াংশ লাতিন নারীর ভোট পেয়েছে বলে জানায় সিএনএন।