ইউক্রেইনের শস্য রপ্তানি করিডোরে বিঘ্ন ঘটানোর যে কোনো রুশ প্রচেষ্টায় বিশ্বের শক্ত জবাব দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
নৌবহরে কিইভের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত রাখার পর অনেক জাহাজে শস্য তোলার মধ্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশে সৈন্য পাঠানোর পর বেধে যাওয়া যুদ্ধ বিশ্বে যে যে ক্ষেত্রে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে তার অন্যতম হচ্ছে খাদ্য ঘাটতি; যে কারণে অনেক দেশে জীবনযাত্রার খরচও অনেক বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ২২ জুলাই হওয়া চুক্তিতে ইউক্রেইনের বিভিন্ন বন্দর থেকে শস্য ও সার রপ্তানি করা নৌযানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা মেলে।
কিন্তু চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া জানায়, কিইভ তাদের কৃষ্ণসাগরের নৌবহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে; যে নৌযানগুলোতে হামলা হয়েছে সেগুলো ওই শস্য রপ্তানির করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে ছিল।
এই হামলাকে কারণ দেখিয়ে মস্কো জানায়, তারা আর ওই করিডোর দিয়ে যাতায়াত করা বেসামরিক জাহাজের নিরাপত্তা দিতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাতের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘ এবং তুরস্কের কল্যাণে এখনও ইউক্রেইনের বন্দরগুলোর বাইরে মালবাহী জাহাজগুলো সচল আছে।
“কিন্তু শস্য করিডোরের দীর্ঘ মেয়াদী ও বিশ্বাসযোগ্য সুরক্ষা দরকার। রাশিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে, আমাদের খাদ্য রপ্তানিতে ব্যাঘাত ঘটানোর যে কোনো চেষ্টায় তারা বিশ্বের কাছ থেকে শক্ত প্রতিক্রিয়া পাবে। এখানে স্পষ্টতই লাখ লাখ মানুষের জীবন জড়িত,” বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।
দরিদ্র দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে এবং খাদ্যপণ্যের দাম যেন নাটকীয়ভাবে বেড়ে না যায় সেজন্য বিশ্ব বাজারে বেশি বেশি গম, সূর্যমুখী তেল ও সার আনার লক্ষ্যেই জাতিসংঘের উদ্যোগে এই শস্য রপ্তানি চুক্তি হয়।
চুক্তি মোতাবেক শস্য ও সার রপ্তানি কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘের সমন্বয়ক মঙ্গলবার টুইটারে বলেছেন, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি মালবাহী জাহাজ ইউক্রেইনের বন্দর ছাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
ইউক্রেইনের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুব্রাকভ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ওই করিডোর দিয়ে ৮টি জাহাজ যাবে বলে তার ধারণা।