গোল উৎসবে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ঝিমিয়ে পড়ল। জিতলেই শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত- সরল এই সমীকরণ কাজে লাগানোর মতো করতে পারল না কিছুই। উজ্জীবিত ফুটবলে বরং আলো ছড়াল যুক্তরাষ্ট্র। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারাল তারাও। তাতে মিলল না গোলের দেখা, লড়াই রয়ে গেল অমীমাংসিত।
আল বাইত স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়েছে। তাতে দারুণ জমে গেছে নকআউট পর্বে ওঠার লড়াই। এই গ্রুপের চার দলের সামনেই সম্ভাবনা আছে পরের ধাপে ওঠার, একই সঙ্গে ছিটকে পড়ারও।
ইরানকে ৬ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে আসর শুরু করা ইংল্যান্ড এখানে এগিয়ে যেতে পারত দশম মিনিটে। ডি-বক্সে বুকায়ো সাকার পাস ফাঁকায় পেয়ে শট নেন হ্যারি কেইন; কিন্তু সামনে ছুটে আসা ডিফেন্ডার ওয়াকার জিমারম্যানের পায়ে প্রতিহত হয়।
২৫তম মিনিট প্রথম সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পায় যুক্তরাষ্ট্র। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন ইউভেন্তুস মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি। সাত মিনিট পর প্রতিপক্ষের দুর্ভাগ্যে ফের বেঁচে যায় ইংল্যান্ড; ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের বুলেট গতির শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবার কাঁপায়।
৪৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন গত ম্যাচের জোড়া গোলদাতা সাকা। কিন্তু ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শট নেওয়ার যথেষ্ট জায়গা না পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে আবারও ইংল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়ায় পুলিসিক-ম্যাককেনিরা। অবশ্য তাদেরও খেই হারাতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কয়েকটি ভালো আক্রমণ করলেও ইংলিশদের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি দলটি।
তবে এই ড্রয়ের মাঝেই শেষ ষোলোয় ওঠার সম্ভাবনা ভালোমতো টিকিয়ে রাখল যুক্তরাষ্ট্র। উজ্জ্বল সম্ভাবনা ইংল্যান্ডেরও।
দুই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইরান।
২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ওয়েলস।