প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে সাবধানী আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও অধিনায়ক লিওনেল মেসি। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা দলকে সমীহ করে কথা বলছেন তারা। তবে এসবের ধারই ধারছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছে তারা। কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড আত্মবিশ্বাসী, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অবশ্যই জিতবেন তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
বিশ্বকাপের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের গুঁড়িয়ে দেয় শিরোপাধারী ফ্রান্স। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তিউনিসিয়াকে হারিয়ে জাগায় শেষ ষোলোর সম্ভাবনা। ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০০৬ সালের পর নকআউট পর্বে উঠে দলটি।
অস্ট্রেলিয়া সামনে এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জ। মুখোমুখি হতে হবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার। যাদের বিপক্ষে ৭ বারের দেখায় তাদের জয় একটি। তাও সেটা ১৯৮৮ সালে, দুই দলের প্রথম ম্যাচে।
অস্ট্রেলিয়ার ভাবনায় নেই সেসব পরিসংখ্যান। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাদের যোগাচ্ছে আত্মবিশ্বাস। গত টোকিও অলিম্পিকে যে লাতিন আমেরিকার দেশটির বিপক্ষে তারা জেতে ২-০ গোলে। আর্নল্ড সেই উদাহরণ টেনে ইএসপিএনকে বললেন, এবারও জয় তাদেরই হবে।
“আমরা কী জিতব? অবশ্যই! গত বছর টোকিও অলিম্পিকে এই দলকে কোচিং করাই আমি এবং আমরা আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারাই। এটা হলুদ ও হালকা নীল-সাদা জার্সির লড়াই, এগারো জনের বিপক্ষে এগারো জনের লড়াই।”
“আর মাত্র দুই দিন বাকি, লড়াইটা স্রেফ মানসিকতা ও তাড়নার। আমি মনে করি, এমন একটি দিক যা আমরা শুধুমাত্র দেশকে দেখাইনি, পুরো বিশ্বকে দেখিয়েছি, তা হলো আমরা একটি দল। আমরা পরস্পরের প্রতি নিবেদিত।”
কেবল আর্জেন্টিনাকে হারানোর আত্মবিশ্বাসেই থেমে নেই অস্ট্রেলিয়া। তাদের চোখ আরও বহু দূর। শেষ ষোলোর ম্যাচ জিতে সামনে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে চায় ব্রাজিলকে।
“ব্রাজিল (প্রতিপক্ষে হিসেবে পেতে চায় অস্ট্রেলিয়া)। আমরা সেরাদের বিপক্ষে খেলতে চাই… বিশ্বকাপে ৩২ দল খেলে, এখন আমরা শেষ ষোলোয়। সেরাদের বিপক্ষে খেলে আমরা নিজেদের পরীক্ষা করতে চাই এবং বাকি বিশ্বকে দেখাতে চাই আমাদের সংস্কৃতি কী। আমি সম্ভবত ৬ কিংবা ৮ মাস ধরে এটা বলে আসছি…”
অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনার ম্যাচটি মাঠে গড়াবে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।