দেশের অভ্যন্তরে দামে লাগাম টানতে আরও এক বছরের জন্য চিনি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত।
তবে চলতি বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রপ্তানি সীমা সরকার বেঁধে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানির পর দেশের ভেতরে দামে স্থিতিশীলতা আনতে অক্টোবরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। সেই সীমা টেনে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক দেশটি।
ভারত সব থেকে বেশি চিনি উৎপাদন করলেও ভোক্তা হিসাবেও তারা দ্বিতীয় অবস্থানে।আর রপ্তানিতে ব্রাজিলেরই পরই রয়েছে দেশটি।
শুক্রবার জারি করা ওই বিধিনিষেধ নিয়ে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কোঅপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ নাকনাভারে বলেছেন, “বিজ্ঞপ্তিটি কেবল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে চিনি রপ্তানি সীমাবদ্ধ রাখতে সরকারের নীতি সম্প্রসারিত করে; এর মানে এই নয় যে, সরকার ২০২২/২৩ বছরে চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে না।”
ভারতের বাণিজ্য বিভাগ ও সরকারি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি মওসুমের নির্দিষ্ট পরিমাণের (কোটা) রপ্তানি লক্ষ্য আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে।
সেপ্টেম্বরে বার্তা সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন বিপণন বছরে প্রথম ধাপে ৫ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির কথা ভাবছিল সরকার। দ্বিতীয় ধাপে ৩ মিলিয়ন টনসহ মোট ৮ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির প্রত্যাশা ছিল।
ইন্ডিয়ান সুগার মিলিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারতের ৯ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করতে পারত। আকর্ষণীয় মূল্যে ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে এই মৌসুমের জন্য অপরিশোধিত চিনি রপ্তানির লক্ষ্যে চুক্তি সই শুরু করেছে।
অসময়ে চলতি মাসের প্রথমার্ধে বৃষ্টির কারণে উৎপাদনে বিলম্ব হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্রমবর্ধমানভাবে রপ্তানি চুক্তি সইয়ের চেষ্টা করছেন।
২০২২-২৩ বছরে ইথানলের জন্য ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চিনি বাদ দিয়েও ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদনের আশা করছে ভারতে, যা আগের মওসুমের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি।