পণ্য ব্যবস্থাপনা ও আমদানি-রপ্তানি নিয়ে যতটা সমস্যা আছে, সংবাদ মাধ্যমে তার চেয়ে বেশি ‘অপপ্রচার’ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, “যতটা না সমস্যা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি প্রচার-প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ১০০ ব্যবসায়ীর এলসি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
“যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটা অতিমূল্যায়িত ছিল। কিন্তু বাকি ৯৯৯টা এলসি যে খোলা হয়েছে, সেই কথাটি কেউ বলছে না। সাংবাদিক ভাইয়েরা তো জাতির বিবেক। সত্য কথাটি উল্লেখ করলে মানুষের মাঝে কনফিউশনটা হয় না।”
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি’র অষ্টম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
মহামারীর মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর ডলার সংকটে আমদানিতে রাশ টানে সরকার, তাতে এলসি খোলায় আসে কড়াকড়ি।
এর মধ্যে বাজারে চিনি সংকটও আসে আলোচনায়। গত এক মাস ধরে বাজারে চিনির সংকট সমাধানে বৈঠক থেকে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বাজারে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। বেশিরভাগ দোকানে চিনির সরবরাহও নেই। অথচ সরকার চিনির দাম প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে ঠিক করে দিয়েছিল।
চিনির দাম ও বাজারে সরবরাহ সংকট নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। বাজারে যারা পণ্য বিক্রি করে, তারা কেউ ফেরেশতা নন। আমরা দেখি, কোথাও কোথাও চিনিটা নিয়ে সমস্যা হয়েছে।
“আমাদের কাগজপত্রের হিসাবে প্রচুর পরিমাণ চিনি দেশে আছে, পাইপলাইনে আছে। ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে; তদারকি করছে। আমরা চিন্তা করছি, বাজারে অনিয়মের দায়ে জেল-কারাগারে পাঠানোর সুযোগ থাকলে আমরা তাও করবে।”
চিনি সরবরাহ বাড়াতে আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “চিনির উপর ডিউটা একটু কমানোর বিষয়ে আজকে কথা হয়েছে। রমজান মাস সামনে রেখে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাই আমাদের লক্ষ্য। কাল-পরশুর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা দিক নির্দেশনা দেবে।
“দাম কমে না গেলেও যেন স্থিতিশীল থাকে। দাম যেটা ঠিক করা হয়েছে সেটা যেন অনুসরণ করা হয়। আরেকটা বাস্তবতা হচ্ছে, চিনি পরিশোধন কারখানায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। আরও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে একটা কো-অর্ডিনেশন কমিটি করব।”