Loading...
The Financial Express

আবাসন মেলায় বিক্রি ও বুকিং হল ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট, প্লট, বাণিজ্যিক স্পেস

| Updated: December 25, 2022 21:46:27


ছবি: রিহ্যাব ছবি: রিহ্যাব

আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব মেলা শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই; সেইসঙ্গে গত বছরের তুলনায় মেলায় এবার কম হয়েছে বেচাবিক্রিও।

পাঁচ দিনের এ মেলা রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যেই মেলার মূল প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে মেলায় আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ফিরে যেতেও দেখা যায়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার এ মেলা শুরু হয়। প্রতিবছরের মত এবারও রিহ্যাব এ মেলার আয়োজন করেছে, যেটিকে দেশের আবাসন শিল্পের সবচেয়ে বড় সমাগম হিসেবে বিবেচনা করছে আবাসন নির্মাণ কোম্পানিগুলোর সংগঠনটি।

মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ছাড়সহ যেসব অফার দেওয়া হয়েছিল, মেলা শেষ হলেও আরও কয়েকদিন এসব অফার দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

রবিবার দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর নেতারা।

সেখানে সংগঠনের সহ সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ বলেন, “মেলা আজ ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার কারণে দুপুর ২টার মধ্যেই শেষ করতে হল। তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে মেলা শেষ করা হলেও যে উদ্দেশ্যে মেলার আয়োজন করা হয় সেটা সফল হয়েছে।

এই কয়েক দিনে ঢাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া আবাসন খাতকে উৎসাহিত করেছে, আশান্বিত করেছে। মেলায় বিক্রির চেয়ে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান আসে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য। তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলায় প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা, প্লট ৮০ কোটি টাকা এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৬ হাজার ১৩২ জন।

কোভিড মহামরীর কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২১ সালে প্রায় একই সময়ে এই মেলা হয়েছিল। সেবার প্রায় ৩৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছিল। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয় ১৯৮ কোটি টাকা। প্লট ১২৫ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়।

ওই বছর ব্যাংক কমিটমেন্ট ছিল প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছিলেন ১৯ হাজার ২৩৭ জন।

কামাল মাহমুদ বলেন, “মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতা নিকট তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা ক্রেতা-দর্শণার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রোডাক্ট দেখে গেলেন, তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। এক সাথে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।

মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “এ বছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এবছর মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুর এর দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি।

কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং আগামী বছর মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।

রিহ্যাবের সহ সভাপতি (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা, রিহ্যাব প্রেস-মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Share if you like

Filter By Topic