বাণিজ্য লেনদেন নিষ্পত্তির আন্তঃআঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) থেকে বেরিয়ে গেছে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশীয় দেশ শীলঙ্কা।
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংককে বিষয়টি জানিয়ে আকুর মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
সার্কুলারে বলা হয়, “শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক (সিএসবিএল) গত ১৪ অক্টোবর আকুর সদস্য পদ থেকে স্বঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সব ব্যাংকের এডি (অথোরাইজড ডিলার) শাখাগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আকু মাধ্যমে কোনো ধরনের বাণিজ্যি বা বাণিজ্যিক লেনদেন না করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইসক্যাপ) এর উদ্যোগে আকু প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কা বেরিয়ে যাওয়ায় এখন মোট আটটি দেশ এ জোটের সদস্য।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি আট দেশ হল–ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। আকুর সদর দপ্তর ইরানের তেহরানে।
এ জোটের সদস্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ যে পণ্য আমদানি করে, তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। একইভাবে অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোও দুই মাস পর পর তাদের আমদানি বিল পরিশোধ করে আকুর মাধ্যমে। এই লেনদেন হয় ডলার বা ইউরোতে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ আকুর বিল পরিশোধ করেছে গত অগাস্টে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিল পরিশোধের পরবর্তী তারিখ রয়েছে।
ইসক্যাপের এশিয়া অঞ্চলের সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত।