শেষ বিকেলের আরেকটি বড় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তো হাওয়ায় ভাসছেন। শিকারি মেহেদী হাসান মিরাজকে ঘিরে উদযাপন চলছে আনন্দবৃত্তে। হঠাৎ সেখানে ছন্দপতন। ফিরে তাকাতে হলো বিরাট কোহলির দিকে। আউট হয়ে ফেরার পথে থমকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাদের দিকেই ক্ষিপ্ত চোখে তাকিয়ে কিছু একটা বলছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন বিকেলে ভারতের রান তাড়ায় ২০তম ওভারের ঘটনা সেটি। মিরাজ এর আগেই চেতেশ্বর পুজারা ও শুবমান গিলের উইকেট নিয়ে ভারতকে চেপে ধরেছেন। ওই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন কোহলিকেও। শর্ট লেগে দারুণ ক্যাচ নেন মুমিনুল হক।
ভারতের ব্যাটিং জিনিয়াসকে এ দিন একটুও স্বস্তিতে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ২২ বলে ১ রান করে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তাকে আউট করে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন মিরাজ। তার দিকে ছুটে যান লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহাননহ দলের অন্যরাও। কোহলি ফিরে যাচ্ছিলেন ড্রেসিং রুমে। কিন্তু একটু গিয়েই তিনি দাঁড়িয়ে যান। তার ডান পাশে একটু দূরে গোল হয়ে উদযাপনে ব্যস্ত থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি অগ্নিদৃষ্টিতে।
বাংলাদেশ দল থেকে কেউ কোহলির দিকে কিছু বলেছেন কি না কিংবা মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কি না, তা বলা কঠিন। তবে কোহলিকে দেখা যায় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু বলতে।
দ্রুত সেখানে ছুটে যান আম্পায়াররা। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খেয়াল করার পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এগিয়ে যান কোহলির দিকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে তখনও বেশ ক্ষিপ্ত দেখা যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে হাত উঁচিয়ে কিছু একটা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।
একটু পর অবশ্য তিনি হাঁটা দেন ড্রেসিং রুমের দিকে। তবে তখনও তার শরীরী ভাষায় দেখা যায় আগুন। ক্রুদ্ধ হয়ে কিছু একটা বলছিলেন তিনি, খুব ভালো কিছু তা হওয়ার কথা নয়!
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের প্রতিনিধিরা অবশ্য একটুও আগ্রহ দেখালেন না ওই ঘটনায় কথা বলতে। লিটন কুমার দাস ছোট্ট করে বললেন, “আমি জানি না কী হয়েছে ওখানে… তাৎক্ষনিক কী হয়েছে, আমি জানি না।”
এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ছুটে গেল মোহাম্মদ সিরাজের দিকেও। ভারতীয় পেসারের দাবি, তারও কিছু জানা নেই।
“সত্যি বলতে, ওই সময় আমি আইস বাথ নিচ্ছিলাম। জানি না কী হয়েছিল, কসম কেটে বলছি… আমার জানা নেই ওই সময় কী হয়েছিল।”