‘অর্থ আত্মসাৎ’: লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বহিষ্কার


এফই অনলাইন ডেস্ক | Published: January 23, 2023 11:23:46 | Updated: January 24, 2023 18:07:07


‘অর্থ আত্মসাৎ’: লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বহিষ্কার

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার হরা হয়েছে। à¦–বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে রোববার তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান ২০২১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাইন উদ্দিন ময়ুরের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থাপত্র জেলা প্রশাসক আনোয়ায়ার হোসেন আকন্দ’র কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে ১২ জন সদস্যদের মধ্যে ১০ জন সদস্য চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনেন।

ইউএনও বলেন, “বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা অনাস্থা দিয়েছেন। তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। তারই আলোকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ওই পদটি শুন্য ঘোষণা করা হয়েছে।”

ইমরান আরও জানান, ওয়াহিদুর রহমান গত বছরের ৩১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণ করে আসছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিষদে কোনো সভা করেননি।

এলজিএসপি-৩, পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর, কাবিখা, কাবিটা) অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দসহ বিভিন্ন বরাদ্দের সভায় ইউপি সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেননি। কিন্তু তাদের নাম ব্যবহার করে ‘ভুয়া স্বাক্ষরের’ মাধ্যমে ওয়াহিদুর ইতোমধ্যে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ।

এছাড়া ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৮২ জন শ্রমিকের অনুকূলে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রকৃত শ্রমিকদের নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান একই অর্থ বছরের টিআর, কবিখা, কাবিটা বরাদ্দের দুই কিস্তির ১০ লাখ টাকা নামমাত্র প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়েছেন। কোনো ধরনের সভা ছাড়াই চেয়ারম্যান অবৈধ সুবিধা নিতে এডিপি খাতের ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রকল্প তালিকা দাখিল করেন।

“এছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায় করা দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “আমি কোনো দুর্নীতি করিনি; আদালতের শরণাপন্ন হব।”

Share if you like