Loading...
The Financial Express

হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের মামলায় আসামিদের তলব

| Updated: September 19, 2022 14:06:17


হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের মামলায় আসামিদের তলব

লেখক হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার রুমা চৌধুরী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল আজিম পলাশকে তলব করেছে আদালত।

রোববার পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২৫ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। আদালতের পেশকার আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

গত বছর ২৯ জুন প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার আবেদন করেন।

মামলায় শাওন আসামি করেছেন মুক্তধারা প্রকাশনী যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার সাবেক স্ত্রী রুমা চৌধুরী এবং মঞ্জুরুল আজিম পলাশ নামে আরেকজনকে।

মামলার আরজিতে বিশ্বজিৎ সাহার নাম এলেও আসামির তালিকায় তাকে রাখা হয়নি।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

মামলা তদন্তের পর সম্প্রতি অভিযোগে সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের সমন করেছে।

ক্যান্সারাক্রান্ত হুমায়ূন ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নেওয়ার সময় সেখানেই ছেলে নিষাদকে নিয়ে ২৪টি ছবি এঁকেছিলেন বলে শাওন জানান। ওই বছরের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।

মামলায় আরজিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় বিশ্বজিৎ ও তার তৎকালীন স্ত্রী রুমার সঙ্গে হুমায়ূনের ঘনিষ্ঠতা হয়। তখন হুমায়ূন তার আঁকা ২৪টি ছবি প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য ওই বছরের জুন মাসে দিয়েছিলেন।

হুমায়ূনের মৃত্যুর পর অভিনেত্রী শাওন সন্তানসহ দেশে ফিরে আসেন। এরপর ছবিগুলো ফেরত চাইলে বিশ্বজিৎ ও রুমা টালবাহানা শুরু করেন বলে দাবি করেন শাওন।

আরজিতে তিনি বলেন, তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রুমা তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎকে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের মিরপুরের পল্লবীর বাসায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২০টি ছবি ফেরত পাঠালেও চারটি ছবি ফেরত পাওয়া যায়নি।

শাওন আরজিতে বলেন, বিশ্বজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর রুমা পলাশের সঙ্গে বসবাসের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় চলে আসেন। পলাশ গত ৩১ মার্চে তার ফেইসবুক পাতায় কুমিল্লায় একটি প্রদর্শনীতে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি প্রদর্শনের ঘোষণা দেন, সেখানে ‘আত্মসাৎ করা’ ছবি রয়েছে।

ছবিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে শাওন বলেছেন, এগুলো হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে নিষাদের কাটানো সময়ের স্মৃতিবিজড়িত। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে শুধু প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারই নয়, দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

Share if you like

Filter By Topic