মহামারীর অভিঘাত পেরিয়ে তিনবছর পর ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার।
বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির ‘প্রাণের এ মেলা’র ৩৯তম আসরের উদ্বোধন করেন।
‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানে মাসব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মহামারী শুরুর পর এবারই ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন বইমেলা শুরু হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
২০২০ সালে নির্বাচনের কারণে ১ দিন পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল বইমেলা। পরের বছর মহামারীর কারণে মেলা দেড় মাস পিছিয়ে যায়। আর ২০২২ সালে মেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এবার তা নির্ধারিত সময়ে ফিরল।
মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তরুণদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা মাদকে না জড়ায়। বাংলা ভাষার সব বই অনুবাদের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিবছর প্রকাশকরা যেমন বইমেলার দিকে চেয়ে থাকেন, তেমনি পাঠকদেরও আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে একুশের মাসব্যাপী বইমেলা। আর মেলাকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন বই প্রকাশের হিড়িক পড়ে।
এবারের মেলায় ৬০১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে; বড় বিতর্কের পর স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না আদর্শ প্রকাশন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে; ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট দেওয়া হয়েছে; থাকছে ৩৮টি প্যাভিলিয়ন।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না। ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকাল ৮টায় খুলবে মেলার দুয়ার, খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।
অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। এছাড়া নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।