ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে ঢাকা ছেড়ে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এই সফরে ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে রানির শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়ে পরদিন তিনি পৌঁছাবেন নিউ ইয়র্কে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় লন্ডনের স্টানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাও এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রেসিয়া স্কটল্যান্ড। যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মিনিস্টার লর্ড আহমদও এদিন আলাদাভাবে দেখা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা লেবার পার্টির কির স্টারমার শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে।
সেদিন সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্রাসাদে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বক্তৃতা করবেন ২৩ সেপ্টেম্বর, প্রতিবারের মত এবারও তিনি বাংলাদেশের মানুষের বক্তব্য এ বিশ্বসভায় তুলে ধরবেন বাংলায়।
ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞায়’ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতির কথা জাতিসংঘে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এবার সংকট সমাধানে আলোচনার ওপর জোর দেবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।