আয়কর যোগ্য নয় এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন সীমার ক্ষেত্রেও রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেওয়ার শর্তে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
রোববার এনবিআরের এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
চলতি অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া বাজেটে ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার সমপরিমাণ বা বেশি অর্থের ঋণ গ্রহণ এবং ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের জন্য আয়কর জমা দেওয়ার (রিটার্ন) প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।
একই সঙ্গে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করতে এরকম মোট ৩৮ ধরনের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা রাখার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে অর্থ বিলে তা সংযুক্ত করে সংসদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
রোববার বিশেষ আদেশের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, “আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৮৪(এ) এর উপধারা ৪ এর ক্ষমতা বলে করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ২ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকসমূহে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা এতদ্বারা প্রত্যাহার করা হলো।”
বাজেটের পর রিটার্নের প্রমাণপত্র দাখিলে সরকারের সিদ্ধান্তে করযোগ্য নয় এমন ব্যক্তিরা ঋণ গ্রহণে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদেরও ঋণ দিতে গিয়ে সমস্যা পড়ে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে এসএমই ঋণ বেশি দেওয়া ব্যাংকগুলো বেকায়দায় পড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে এসএমই ঋণ ও ভোক্তা ঋণের বেলায় রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে শিথিলতা দাবি করেন ব্যাংকাররা।
এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বিভিন্ন সময়ে এই শর্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়।