নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেছিলেন।
মহানগর হকিম রাজেশ চৌধুরী বাদীর জবানবন্দি শুনে পরে দুপুরে আবেদনটি খারিজ করে দেন বলে জানান বাদীর অন্যতম আইনজীবী কালাম খান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
হারুন অর রশিদ ছাড়াও ঢাকা মহানরগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান, ডিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, রমনার যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার দাস, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম কমশিনার (অপরেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার, মতিঝিলের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানি, আর্জেন্টিনার জার্সি পরিহিত অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণকারী আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনশ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল মামলা আরজিতে।
আরজিতে সাক্ষী করা হয় বিএনপির ১৪ জনকে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজসহ আলামত সংগ্রহে আদালতের পদক্ষেপ এবং হস্তক্ষেপ চাওয়ার পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে গতবছরের ৭ ডিসেম্বর বিএনপিকর্মীরা নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে সংঘর্ষে আহতদের একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান এবং অনেকে আহত হন।
পরে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। চারদিন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ওই কার্যালয় খুলে দেওয়া হয় ১২ ডিসেম্বর।
সেদিন কার্যালয়ে প্রবেশ করে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। পুলিশের অভিযানের সময় কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে সে সময় অভিযোগ করেন তারা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স সেদিন বলেন, কার্যালয়ের ভেতরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কক্ষ, কেন্দ্রীয় দপ্তরের কক্ষ, কনফারেন্স হলসহ ছয় তলা পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন দপ্তরে কম্পিটারের সিপিইউ, ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, মোবাইল ফোন, সিমসহ মোবাইল ফোন, নথিপত্র, দেয়ালঘড়িসহ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ‘হামলা’ করে। বিএনপি কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়।
“বিএনপির নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। তবে তাদের কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই।”