বায়ু দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বাংলাদেশের রাজধানী বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকার মধ্যে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “দেশের বায়ু দূষণের এ পরিস্থিতি কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। তাই বায়ু দূষণ রোধে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে কার্যকর আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।”
এবারও শীত মৌসুমে বায়ু দূষণের কারণে বাজে অবস্থায় রয়েছে ঢাকা। রাজধানীর বাতাসে ভারী ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা।
২২ জানুয়ারি সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষক সংস্থা আইকিউএয়ারের শহরভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সবচেয়ে বাজে দশা ছিল ঢাকার বাতাসের, স্কোর ছিল ২৭১, যে মাত্রা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’।
টানা কয়েকদিন ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বায়ুদূষণ রোধে বুধবার থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সভায় নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে হাইড্রলিক হর্ন তথা শব্দদূষণ বন্ধে কার্যকর নিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দেন তিনি।
শাহাব উদ্দিন বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আগামীকাল (বুধবার) থেকেই বায়ুদূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের বিরুদ্ধে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। অভিযানের সংখ্যা ও পরিধি বৃদ্ধির জন্য জরুরিভিত্তিতে আরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য পাঠানোর জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাতে হবে।”
মন্ত্রী বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনে অভিযানে অংশ নেবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।