অ্যালেক্স হেলসকে দিয়ে শুরু। এখন শোনা যাচ্ছে স্যাম বিলিংস, জেমস ভিন্স, লিয়াম ডসনের বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা কম। নিউ জিল্যান্ড সফরের টেস্ট দলে যারা থাকবেন, তারা বাংলাদেশে আসতে পারবেন না নিশ্চিতভাবেই। সব মিলিয়ে অনেকটা খর্বশক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসতে হবে ইংল্যান্ডকে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসবে এই দুই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল।
নিউ জিলান্ড সফরে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৪ ফেব্রুয়ারিই। তাই টেস্ট দলের সম্ভাব্য যারা টি-টোয়েন্টিতে থাকতে পারতেন, তাদেরকে পাওয়া যাবে না বাংলাদেশ সফরে। এই তালিকায় আছে হ্যারি ব্রুক, বেন ডাকেট, অলিভার স্টোন, উইল জ্যাকস, এমনকি জো রুটও।
চোটের কারণে দুই তারকা জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোনের না থাকা নিশ্চিত বেশ আগে থেকেই।
বড় একটি বাধা হয়ে আবির্ভুত হয়েছে এখন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। পাকিস্তানের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বেশি পারিশ্রমিক পাবেন বলেই বাংলাদেশ সফরে হেলস আসছেন না বলে খবর প্রকাশ করেছে দা টেলিগ্রাফ। এবার ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, হেলসের সঙ্গী হতে চলেছেন বিলিংস, ডসন ও ভিন্স। এবারের পিএসএল চলতে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ।
পিএসএলে খেলতে চাওয়া এই ক্রিকেটাররা ইংলিশ বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের দেশের হয়ে খেলতে বাধ্য করা কিংবা দেশ আর ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি বেছে নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার মতো কিছু ইংল্যান্ডের বোর্ড করবে না। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সময় কোনো ক্রিকেটারকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে বোর্ড চায় ওই ক্রিকেটার ও লিগের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে।
ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, হেলস-বিলিংসের মতো যারা বাংলাদেশে সফরে না এসে পিএসএল খেলতে চান, তাদের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনা খুবই আন্তরিকভাবে হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কাজেই বাংলাদেশ সফরে জস বাটলারের ইংল্যান্ড দলে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে নিশ্চিতভাবেই। শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা ইংল্যান্ড লায়ন্সের (‘এ’ দল) বেশ কজনকে দেখা যেতে পারে দলে। গত অক্টোবরে পাকিস্তান সফরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের স্কোয়াডে ছিল ৫ জন নতুন মুখ।